Sunday, October 27, 2019

শুভ জন্মদিন !



শুভ জন্মদিন সেই নারীকে,যার শুধুমাত্র সৈন্দর্যের বর্ননা করতে গিয়ে আমি তৈরি করে ফেলেছি এক চির অসমাপ্ত উপন্যাস। 🌹
কলমের কালি ফুঁড়োবে,পৃথিবীর কাগজ শেষ হয়ে যাবে তবুও যেন শেষ হবে না তার রূপ নিয়ে লেখা আমার উপন্যাস।আমাদের চির দূরত্বের ভালবাসা নিয়ে একটি এক তরফা প্রেমের উপন্যাস। 


শুভ জন্মদিন তোমায়।সাথে জর্জরিত বুক থেকেই তোমার চোখের ঘুম কেঁড়ে নেয়া হাজারো স্বপ্ন সত্যির শুভকামনা।হতে পারে তার একটি হয়ত তোমার জীবনে আমার আবর্তনই এক দুঃস্বপ্ন। 😊
আজ তোমার ১৯তম জন্মদিন।জানিনা তোমার জন্য কতটা বিশেষ হয়ে প্রতি বছর এই দিনটি আসে।কিন্তু,গত ৮টি বছর ধরে আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ দিনগুলোর একটিই হয়ত হয়ে থাকে ২৬'ই অক্টোবর। 🌈🌈
এটাও জানিনা,তুমি কিভাবে পালন করো তোমার জন্মদিন।তবে আমি ঠিকই আমার নিয়মে পালন করি দিনটি। 😃😃
তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই শহরের ভিড়ে।তুমি যখন আমার কাঁধে মাথা রাখো,তখন রিক্সাটাও মনে হয় যেন রকটের গতিতে দৌড়ে যাচ্ছে।বাতাস আরো বেপরোয়া হয়ে তোমার চুল খুলে দেয়,আর আমি দেখি সবার অদেখা হুর। 😇
Image may contain: 2 people

হোক না সেগুলো কল্পনাতেই।কিন্তু,এই কল্পনাগুলোই আমার ভালবাসার সবচেয়ে বড় শক্তি।যার অনুপ্রেরণা বাস্তব তোমাকে কাছে পাবার স্বপ্ন দেখিয়ে যায় আমাকে প্রতি মূহুর্তে। 😉😉
তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি,সেদিন তুমি ছিলে হলুদ রঙের জামায়।আর সেই থেকে তুমি হয়ে গেলে আমার সূর্যমূখি। 🌻🌻
প্রায় বিকেলেই বারান্দার রোদ্দুরে এসে বসে থাকতে তুমি।মনে হতো সূর্যের কিরন সেই সূর্যমুখির উপর পরতো,আর তা প্রতিফলিত হয়ে সাড়া দিতো আমার চোখে। 😎😎
তোমার বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে অথবা তোমার বারান্দা বরাবর আরেকটি বারান্দায় বসে থাকা একটি ছেলে প্রতিদিন ব্যাকুল হয়ে যেতো,প্রতিদিন দিওয়ানা হয়ে মরতো।তারপর সূর্য ডোবার সাথে সাথে সূর্যমূখিটাও বিদায় নিতো বারান্দা থেকে।🌇🌇

Image may contain: 3 people, night
আজ ৮ বছর পর এসে হয়ত নিয়মিত আসে না সেই সূর্যমূখি,হয়ত ছেলেটাও আর রাস্তায় কিংবা বরাবর বারান্দায় বসে থাকে না।তাই বলে কিন্তু,ভালবাসা একটুও কমেনি।কমেনি হৃদয়ের কষ্ট কিংবা চোখের কান্নাও। 😒😒
কিন্তু,পার্থক্য হয়তো সুখে থাকার অভিনয় করতে করতে আমি আজ পাক্কা অভিনেতা হয়ে যাচ্ছি।লুকিয়ে কাঁদতে থাকা ছেলেটাই এখন অভিনয় করতে করতে সবার সামনে কাঁদে। 😊😊
তুমি এসেছিলে বলেই শিখেছি কষ্টকে সামনে থেকে হাসি মুখে বরন করতে।
একসময় সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার কক্ষে একাকী নীরবে কাঁদা ছেলেটি এখন আগের মতো না কাঁদলেও ওর হৃদয় আগের চেয়েও ক্ষত-বিক্ষত।যেন কোনো যুদ্ধে বিদ্ধস্ত দেশে সব হারিয়ে বেঁচে থাকা একমাত্র মানুষ। 🏆🏆
মানুষ হয়তো পাগল ভাবতে পারে,কিন্তু তুমি সত্যি এখন আমার এক রকম হেলুসুলেশন। যে কিনা আমার সাথে কথা বলে,আমাকে বিরক্ত করে,আমাকে ভালবাসে,আমার সাথে অভিমান করে।
ওকে নিয়ে বেশ সুখেই আছি।তবু যেন বাস্তবের তোমাকে না পাওয়ার আক্ষেপটা ছাড়তে পারি না।ছাড়তে পারবোও না।প্রথম প্রেম বলে কথা। 💝💝
বাকিদের কথা বলতে পারি না,তবে আমার জন্য পুরো পৃথিবীটা যদি সূর্যমূখির বাগান হয়,তাহলে সেই বাগানের সবচেয়ে সুন্দর আর আর মূল্যবান সূর্যমূখিটা তুমি। 🌻🌻
তোমার তুমিতে হারিয়ে করেছি কতো হাজার পাগলামি।বৃষ্টিতে একটানা ৪-৫ ঘন্টা ভিজেছি তোমাকে এক নজর দেখার জন্য।শৈত্যপ্রবাহে তোমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কাঁপছিলাম শীতের পোশাক না পরে।তোমাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে বেড়িয়েছি এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তা।
চলে যাবে সময়,থাকবো না আমরা।তবুও সেই রাস্তাগুলো আর রাস্তায় রেখে যাওয়া নিঃশ্বাস থাকবে আমার ভালবাসার চির সাক্ষি হয়ে। 🌴🌴
তুমি যদি জিজ্ঞেস করতে,আমি তোমাকে জন্মদিনে কি উপহার দেবো??
তাহলে বলতাম তোমার জন্য আমি আর আমার ভালবাসাই সবচেয়ে বড় উপহার।এই উপহার নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম যদি কখনো আবদার করো........

বিদ্রঃ লেখাটি ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবরে লেখা।

Friday, October 25, 2019

স্বপ্ন সত্যি হবার প্রতিবন্ধকতা যেখানে

কাল তো ২৬'ই অক্টোবর।তাই না?দিনটি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো উল্লেখযোগ্য দিন নয়।তবুও উল্লেখযোগ্য।কারন একজনের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে আমার জীবন। আর তার জন্মদিন যে দিনটাতে,সেই দিনটা আমার জন্য কিভাবে উল্ল্বখযোগ্য না হয়ে পারে?
কে সেই লোক?কার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে আমার জীবন?
এই প্রশ্ন???
আসলে সে আমার কি হয় বা আমাদের কি সম্পর্ক,এইসবের সঠিক কোনো জবাবই আমার কাছে নেই।শুধু এতটুকুই বলতে পারি,তাকে ভালবাসি। অনেক ভালবাসি।
আজ প্রায় সাত বছর,তার ভালবাসা পাবার আর্তনাদে শুন্য হৃদয় কাঁদছে। এটা জেনেও,তাকে পাবা আমার জন্য সহজ নয়।যখনই তাকে পাবার কথা চিন্তা করি,তখনই সব প্রতিকুল পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা'গুলো আমাকে ঘিরে ধরে।যা হৃদয়ের কষ্টগুলোকে বেগান্বিত করে এবং বাড়িয়ে দিয়ে যায় নয়ন জলস্রোত।
হ্যা,মাঝে মাঝে খুব রাগ হয়,কেন মেয়েটা এমন?কিন্তু,সে রাগ ক্ষনিকের এবং আমার অন্তরে তা শোভা পায় না।
কারন আমার সামনে যেমন এই পরিবেশের হাজারো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে আছে,তেমনি তার সামনেও তো আছে।আর আমিই বা ভাল কোথায়?যে ঠিকমত গিয়ে ভালবাসার কথা প্রকাশ করার মত সাহস জোগাতে পারে না,সেই বা কি অন্যের দোশ দেবে?যাক এ কথা না হয় বাদ'ই দিলাম।
এখনতো শীতকাল তাই না?
যখন এক একটি মৌসুমের সামনে দাঁড়াই,তখনই মনে পরে কিভাবে আমি পাগলামি গুলো করতাম।
এই যেমন- বর্ষাকালে বৃষ্টিতে ভিজে,তাকে এক নজর দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম,আবার শীতকালে শৈত্যপ্রবাহে বাইরে নেমে সকালবেলা সে স্কুলে যাবার সময় দূর থেকে তাকিয়ে থাকতাম।যেন মৌসুমের পরিবর্তনে পাগলামির পরবর্তন হত।




আজও মনে পরে যায় সেই দিনগুলো।যা আমাকে অনেক কষ্ট দেয়,অনেক কাদায়।কিন্তু এক অন্যরকম প্রশান্তিও মনে বিরাজ করে।আর কষ্টগুলোর জন্যও তাকে দায়ী করি না,বরং নিজেকেই দায়ী করি।মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে কিছু উপহার দিয়েছেন।আর যার উছিলা হিসেবেই হয়ত এসেছিলো মেয়েটি।সে আসার পর থেকে পাওয়া কষ্টগুলোই যেন এক ধরনের আশির্বাদের ন্যায় কাজ করেছে।এই যেমন-আমি কবিতা লিখছি,নাটক লিখছি,প্রবন্ধ লিখছি।এইসবই বা কম কোথায়??
আসলেতো মেয়েটার কাছেই আমি ঋনী।কারন,সে যা দিয়েছে,তার হয়ত সরিষা পরিমানও আমি দিতে পারিনি।
মেয়েটিকে সূর্যমুখী ডাকি মাঝে মাঝে।কারন ওকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন সেদিনও ছিলো হলদে রঙের জামায়।আর শেষবার ওর জন্মদিনে ওকে দেখেছিলাম ২০১০ সালে,সেদিনও ওর পরনে ছিলো হলদে জামা।
এই সূর্যমুখী'টা মাঝে মাঝে বারান্দায় এসে সূর্যে র আলো নিয়ে যেত।আর আমি নিচে থেকে তাকিয়ে দেখতাম অপরুপ সুন্দর এক সূর্যমুখী ফুটে আছে ঐ বারান্দায়।
শুভ জন্মদিন "সূর্যমুখী"।তুমি চিরকাল তোমার হলদে আলোয় আমার স্বপ্নে এসে রাঙিয়ে দিয়ো,মাঝে মাঝে একাকিই যেভাবে তোমার সাথে কথা বলি,যতদিন বন্ধ হয় না যেন এই আলাপন।দোয়া করি, এগিয়ে যাও সে পথে,যেখানে তোমার স্বপ্ন গাথা।আর ২৬'ই অক্টোবর যেন তোমার জীবনে বার বার আসতে থাকে।
আর আমি?বড় একা।আমারই ছায়ার মত,শুন্যতার মত,নির্সংগ বৃক্ষের মত,নির্জন নদীর মত,বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত,আজীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মত একা আমি।
বড় একা।


বিদ্রঃ লেখাটি ২০১৪ সালের আজকের এই দিনের।